পালস অক্সিমিটার ব্যবহারের নিয়ম
করোনাভাইরাস মহামারী মানুষের কেনাকাটার ধরণের পরিবর্তন করেছ, যে পণ্যগুলি জন্য কেনাকাটা করে সেগুলিও পরিবর্তন করেছে। সম্প্রতি পালস অক্সিমিটারের (Pulse Oximeter) মতো একটি পণ্য মানুষের সবচেয়ে জরুরী পণ্য তালিকায় স্থান পেয়েছে।
করোনাভাইরাসের (Coronavirus) কারণে সংকট পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশে। আক্রান্তের সংখ্যার সাথে প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে মৃত্যু সংখ্যাও। হাসপাতালে যেসব রোগী ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, এই মুহূর্তে করোনা রোগীদেরসবচেয়ে বড় সমস্যা হলো শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস হয়ে যাওয়া। আর সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলেই রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে।
এখন প্রশ্ন হলো, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কখন কেমন থাকবে, তা বুঝব কি করে! সেক্ষেত্রে চিকিৎসকরা যে পরামর্শ দিচ্ছেন তা হলো, আমাদের প্রতি বাড়িতে অন্তত একটা পালস অক্সিমিটার (Pulse Oximeter) রাখা উচিত। আজ জানাবো পালস অক্সিমিটার এর কাজ কি, ব্যবহারের নিয়ম, বাংলাদেশে দাম, এবং ভালো ব্র্যান্ডের পালস অক্সিমিটার কোনগুলো ও কোথায় পাওয়া যাবে।
পালস অক্সিমিটার কি?
একটি পালস অক্সিমিটার একটি ছোট, হালকা ডিভাইস যা শরীরে বহন করা অক্সিজেনের পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করতে ব্যবহৃত হয়। এই ডিভাইসটি দিয়ে শরীরে অক্সিজেনের স্যাচুরেশন মাপা হয়ে থাকে। শরীরের বিভিন্ন স্থান যেমন নাক, কান, গলা ও আঙুলে এই প্লাস ওকক্সিমিটার সংযুক্ত করা যায়।
পালস অক্সিমিটার এর কাজ কি
এই ডিভাসটি আপনার আঙুলের ডগায় সংযুক্ত করে, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আপনার শরীরে কতটা অক্সিজেন রয়েছে তা পরিমাপ করে জানাবে। একবার অক্সিমিটার তার মূল্যায়ন শেষ করলে, এর স্ক্রিনটি আপনার হৃদযন্ত্র থেকে আসা আপনার রক্তে অক্সিজেনের শতাংশ প্রদর্শন করবে-সেইসাথে আপনার বর্তমান পালস রেটও প্রদর্শন করবে।
তাছাড়া আমাদের নানাভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হতে পারে, হৃৎস্পন্দন কমে যেতে পারে বা অনিয়মিত হতে পারে। পালস অক্সিমিটার (Pulse Oximeter) দিয়ে আমরা জেনে নিতে পারি হৃৎস্পন্দন সম্পর্কে।